Babosai - ব্যবসায়ী
আপনার পছন্দের ব্লগ থেকে বেছে নিন আপনার ব্যবসার আইডিয়া। লক্ষ্য স্থির করুন বিনিয়োগের ওপর মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনায়। জানুন উৎপাদনের প্রক্রিয়া এবং পণ্যের বাজারজাতকরণ সম্পর্কে। আর্থিক সংকটে বসে থাকা আর নয়। এখন থেকে নিজের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করুন। হয়ে উঠুন নিজেই নিজের ভাগ্য উন্নয়নের চাবিকাঠী ।
২০
টি অল্প টাকায় লাভজনক প্রস্তুতকারকছোট ব্যবসার আইডিয়া –
শুরু করুন আজই!
যেকোনও দেশের
অর্থনীতির মূলচালিকাশক্তি উত্পাদন শিল্প। ভারী শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র,
ছোট ও মাঝারিউত্পাদন
শিল্পের একটার বড় ধরণের ভূমিকা থাকে দেশের অর্থৈনৈতিক উন্নতিতে।আমাদের
মতো উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে এই ধরণের ছোট ম্যানুফ্যাকচারিংব্যবসার
গুরুত্ব অপরিসীম। অল্প পুঁজিতে ও কম
লোক বল নিয়ে শুরুকরা যায় এরকমই ২৫টি উত্পাদনমুখী ব্যবসার
সন্ধান আজ আমরা দেব। উত্পাদনমুখীব্যবসায় জিনিসের
গুণমানই ব্যবসায়িক সাফল্যের চাবিকাঠি। আজ আমরা এমন কয়েকটিব্যবসাআইডিয়া নিয়ে
আলোচনা করব যা শুরু করতে খুব বেশি প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই খুব বড়
ধরণের কোনও পরিকাঠামো কিন্তু সঠিক পথে চলতে পারলেমুনাফা নিশ্চিত।
১. কাগজ
তৈরির ব্যবসা
কাগজের চাহিদা
সবসময়েই রয়েছে। আমাদেরদেশে কাঁচামাল যোগাড় করাও সহজ। কাগজ
তৈরির যন্ত্র ও কাঁচা মাল মিলিয়েপ্রাথমিক খরচ ২ লক্ষ
টাকার মধ্যে। এ-টু, এ-থ্রি,
এ-ফোর এই তিন মাপের
কাগজেরচাহিদা
সব থেকে বেশি। এছাড়ও হাফ ডিমাই, ফুল ডিমাই ইত্যাদি নানা মাপেরছাপার কাগজেরও চাহিদা
রয়েছে বাজারে। কাগজের পাশাপাশি খাতা বাঁধাইয়েরব্যবস্থাও রাখা যেতে
পারে।
২. কাগজের ব্যাগ ও হাল্কা পিচবোর্ডের বাক্স
তৈরি
পরিবেশ সচেতনতা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেপ্লাস্টিকের ব্যবহার কমছে, বাড়ছে কাগজের
ব্যাগের চাহিদা। বিভিন্ন মাপেরকাগজের ব্যাগের প্রয়োজন হয় দোকানগুলিতে।
অনেক দোকান আবার পুরনো খবর কাগজদিয়ে তৈরি ব্যাগও ব্যবহার করছে জিনিস
বিক্রির জন্য। এছাড়াও তৈরি করতে
পারেন হাল্কা পিচবোর্ডের বাক্স। মিষ্টির দোকান থেকে শাড়ির দোকান, এই ধরণের বাক্সের
চাহিদা কিন্তু রয়েইছে। ৩. মোবাইল ফোন-এর
আনুষাঙ্গিক তৈরি স্মার্ট ফোন আজ
প্রত্যেকের হাতে, এইস্মার্ট
ফোন-এর বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক জিনিস তৈরি করে ভাল রকম লাভ করার সুযোগরয়েছে।
স্মার্ট ফোন-এর ব্যাক কভার, স্ক্রিন
গার্ড ইত্যাদি তৈরি করা যেতেপারে। এই উত্পাদনমুখী ব্যবসায়অল্পবিনিয়োগে বেশি লাভ সম্ভব।
৪. ঘরে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা
বাজারে হরেক রকমের
নামি দামী কোম্পানিরবিস্কুট পাওয়া গেলেও ঘরে তৈরি তাজা
বিস্কুটের চাহিদা আছে। বিস্কুটের স্বাদভাল হলে চায়ের দোকান
বা পাড়ার মুদি দোকান থেকে সহজেই এই বিস্কুট বিক্রিকরা সম্ভব। কাঁচামাল
ও ওভেন মিলিয়ে বিনিয়োগ ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
৫. জৈব সার তৈরির ব্যবসা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান
দেশে, ফলে
এদেশেসারের
বিপুল চাহিদা রয়েছে। নিজের এবং আসে পাশের বাড়ির বর্জ্য থেকেই জৈবসার
তৈরি করা সম্ভব। স্থানীয় বাজারে সরাসরি চাষীদের বা বিভিন্ন নার্সারিকেএই
সার বিক্রি করতে পারেন। এই ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসাতেও লাভ ভালই।
৬. কাঠের হাতা-খুন্তি তৈরি
নন্-স্টিক পাত্রের
ব্যবহারের ফলে প্রচুরচাহিদা তৈরি হয়েছে কাঠের তৈরি হাতা
খুন্তির। প্রতি বাড়িতেই নিয়মিত এই হাতাখুন্তি কেনা হয়,
এছাড়াও রয়েছে হোটেল
রেস্তোঁরা। ভাল মানের কাঠের হাতাপেতে অনেক সময়েই
সমস্যায় পড়ে ক্রেতা, তাই
এই হাতা উত্পাদন করে ভাল ব্যবসাকরতে পারবেন। নিজের দোকান খুলেও বিক্রি
করতে পারেন অথবা অন্য দোকানেওসরবরাহ করতে পারেন।
৭. পনীর, মাখন
ও ঘি তৈরি
বাড়িতে সহজেই পনীর,
ঘি বা মাখন তৈরিকরা
সম্ভব, বিনিয়োগ
নাম মাত্র, লাভ
অনেক। বাড়িতে তৈরি এই সব দ্রব্যের মানঅনেক সময়েই বাজারে
পাওয়া যাওয়া বড় কোম্পানির পণ্যের থেকেও ভাল হয়, তাইক্রেতা কেনেন খুশি
মনে। ক্রেতার পছন্দ হলে বারবারই তারা ফিরে আসবেন আপনারপণ্য কিনতে।
৮. ড্রাই ও ফ্রোজেন ফ্রুট তৈরি
আমাদের দেশে শুকনো ও
ফ্রোজেন ফলেরবাজার তৈরি হলেও যোগান এখনও অনেকটাই কম। বিভিন্ন বেকারির আইটেম,
স্মুদিইত্যাদি
তৈরিতে কাজে লাগে এই ফল। কম টাকায় এই ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা শুরুকরে
লাভের সুযোগ রয়েছে ভাল।
৯. রবারের কার্পেট, পাপোস
ও টেবিল ক্লথ তৈরি
বাড়ি, হোটেল বা অফিস
সর্বত্রই প্রয়োজনহয় রবারের তৈরি কার্পেট, পাপোস বা টেবিল ক্লথ।
ব্যবহারের সুবিধার জন্যরবারের তৈরি এই পণ্যের চাহিদা অত্যন্ত
বেশি। নানা ধরণের আকর্ষণীয় নকশারকার্পেট বা পাপোস
তৈরি করতে পারলে বিক্রি আটকাবে না। প্রয়োজনীয় যন্ত্র, রাসায়নিক ও কাঁচামাল মিলিয়ে প্রাথমিক
খরচ ২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
১০. বিছানার চাদর ও বালিশের ঢাকনা তৈরি
বড় সড় কোম্পানির
চাদর বা বালিশেরঢাকনা বাজারে পাওয়া গেলেও স্থানীয়ভাবে
তৈরি চাদর বা বালিশের কভারের বিপুলচাহিদা রয়েছে আমাদের
দেশে। এই উত্পাদনমুখী ব্যবসা শুরু করতে হলে খানিক বড়একটা জায়গা লাগবে,
আর লাগবে তাঁত বা
বৈদ্যুতিক বয়ন যন্ত্র।
১১. পাঁউরুটি তৈরি
বাঙালির খাদ্য
তালিকায় পাকাপাকি জায়গাকরে নিয়েছে পাঁউরুটি। পুষ্টিগুণ ও
সহজলভ্যতার কারণে প্রায় প্রতিদিনে খাবারতালিকায় থাকে
পাঁউরুটি। কম বিনিয়োগেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। লাইসেন্সপাওয়ার
ঝক্কিও কম। স্বাস্থ্যকর ভাবে তৈরি করে ভাল প্যাকেজিং-এ বিক্রি করতেপারলে
ভাল লাভ হবে এই ব্যবসায়।
১২. ন্যাপথলিন তৈরি
জামাকাপড়কে পোকা
মাকড়ের হাত থেকেবাঁচাতে বা বাথরুম-পায়খানা থেকে পোকা
তাড়াতে সর্বত্রই ব্যবহৃত হয়ন্যাপথলিন বল। ন্যাপথলিন ট্যবলেট তৈরির
যন্ত্র দিয়ে এই বল তৈরি করে বাজারেবিক্রি করতে পারেন।
খেয়াল রাখতে হবে যাতে ন্যাপথলিনের গুণমান ভাল হয়, গলেগিয়ে জামা কাপড় নষ্ট
না করে।
১৩. চানাচুর নিমকি তৈরি
নিমকি, চানাচুর, ডালমুট ইত্যাদিরব্যাপক
চাহিদা রয়েছে ভারতের বাজারে ফলে রয়েছে লাভের সুযোগও। খুব বেশিবিনিয়োগের
প্রয়োজন নেই এই উত্পানমুখী ব্যবসায়। তবে প্রয়োজন যন্ত্র বসানোরজন্য
কিছুটা জায়গার।
১৪. খেলনা তৈরি
বাচ্চাদের রকমারি
খেলনা তৈরি করে অল্পপুঁজিতেই লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে
পারেন। সারা বছরই এই পণ্যের চাহিদারয়েছে। আপনার
কারখানায় খেলনা তৈরি করে তা সরবরাহ করতে পারেন সারা দেশে।প্লাস্টিকের খেলনা
যেমন তৈরি করতে পারেন, তেমনই
তৈরি করতে পারেন কাঠেরখেলনাও।
১৫. হাতে বানানো সাবান তৈরি
প্রাকৃতিক উত্স থেকে
তৈরি হাতে বানানোসাবানের চাহিদা তৈরি হয়েছে আমাদের দেশে।
নানা গন্ধ ও উপকরণের এই সাবানবিক্রি করতে পারেন শহরের বিভিন্ন
দোকানে। নতুন নতুন ধরণের সাবান তৈরি করতেপারলে ভাল দামও পাওয়া
যাবে।
১৭. মধু তৈরি
মধু তৈরির জন্য
প্রয়োজন মৌমাছি চাষকরা। উপযুক্ত পরিবেশ ও জায়গা থাকলে এই
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রাথমিকখরচ হবে ২৫ থেকে ৫০
হাজার টাকার মধ্যে। মধুর চাহিদা সব জায়গাতেই রয়েছে, আরস্থানীয়ভাবে তৈরি এই
মধুর মানও হয় ভাল।
১৭. বায়োপ্লাস্টিক প্যাকেজিং
এই প্যাকেজিং-এ
বর্জ্য কম হওয়ায়ইদানিংকালে এই চাহিদা বাড়ছে।
রেস্তোঁরার খাবার বা আলুর চিপস্-এর প্যাকেজিংবিভিন্ন জায়গাতেই
ব্যবহার হচ্ছে এই প্যাকেজিং। হয় আপনি নিজের বায়োপ্লাস্টিক উপাদান
তৈরি করতে পারেন অথবা বাজার থেকে কিনে প্রথাগত প্লাস্টিকমোল্ডিং প্রযুক্তির
সাহায্যে বানাতে পারেন পাত্র।
১৮. অ্যালুমিনিয়ামের দরজা ও জানলা তৈরি
ভারত পৃথিবীর পঞ্চম
বৃহত্তমঅ্যালুমিনিয়াম উত্পাদনকারী দেশ। এদেশের ইমারতি শিল্পে
ব্যাপকভাবে ব্যবহৃতহয় এই হালকা অথচ পোক্ত ধাতু।
অ্যালুমিনিয়ামের দরজা ও জানলা তৈরি একটিলাভজনক উত্পাদনমুখী
ব্যবসা। কারখানার তৈরিতে প্রাথমিকভাবে বেশ খানিকটা খরচহলেও লাভ আসবে
অচিরেই।
১৯. নারকেলের দুধের পাউডার তৈরি
নারকেলের দুধের
চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে, এমন কি বিদেশের বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে
যথেষ্ট। এই পাউডার বেশি দিনধরে রেখে দেওয়া যায় ও প্যাকেজিংয়ের খরচও
কম। বর্তমানে ছোট উত্পাদনব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ব্যবসার জনপ্রিয়তা
বেড়েছে।
২০. আদা ও রসুনের পেস্ট তৈরি
আজকের ব্যস্ততার যুগে
আদা-রসুন বাড়িতেবাটার বদলে রেডিমেড কিনে ব্যবহার করতেই
পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এইসম্ভবনাকে কাজে
লাগিয়েই শুরু করতে পারেন আপনার ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা।
২০ টি অল্প টাকায় লাভজনক প্রস্তুতকারক ছোট ব্যবসার আইডিয়া
Reviewed by Babosai
on
April 04, 2020
Rating: 5
No comments
Thanks for your comments .