Ad

New Update

মোমবাতি তৈরির মেশিন দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন ।

মোমবাতি তৈরির মেশিন কিনুন মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন ।



“সরকারী চাকরি নেই মানেই সে বেকার” এই বস্তাপচা ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে । ব্যাবসা করুন , নিজের পায়ে দাঁড়ান । সরকারী চাকুরে জীবীর থেকেও অনেক বেশি আয় করুন । এর জন্য দরকার শুধু মনের ইচ্ছা ।আপনার ব্যবসাকে দাড় করাতে আমরা সাহায্য করবো । আমরা দেখাবো পথ হাঁটতে হবে আপনাকেই ।

হয়তো এই মেশিনটি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে । হয়তো এই মেশিনটি আপনাকে দিশা দেখাতে পারে এক নতুন জীবনের । উৎসবে অনুষ্ঠানে , পরব , পুজা পার্বন অথবা দৈনন্দিন ব্যবহারে মোমবাতির একটি বিরাট চাহিদা রয়েছে । বর্তমানে বিভিন্ন স্টাইলের মোমবাতি তৈরি হচ্ছে , যার ফলে শুধু মোমবাতি জ্বালানোর জন্য নয় , ঘর বা অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজানোর জন্যও মোমবাতি ব্যবহার হচ্ছে । এছাড়া মোমবাতির উপর সেই লেভেলের কারুকার্য করতে পারলে এই মোমবাতি কে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব । আজ আমরা যে মেশিনের কথা বলব তার সাহায্যে মোমবাতি তৈরি করে প্যাকেটে ভরে অর্ডার অনুযায়ী দোকানে সাপ্লাই করতে পারেন অথবা নিজের উদ্যোগেই বিক্রি করতে পারেন। তো চলুন আজ আমরা আলোচনা করবো মোমবাতি তৈরির  মেশিন কিনে কিভাবে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব ।

কীভাবে মোমবাতি তৈরি  কুরবেন ?

মোমবাতি সমগ্র বিশ্বে ব্য়বহার করা হয় । অন্ধকার দূর করতে ও ভগবানের কাছে প্রার্থনা করার জন্য় বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষ মোমবাতির ব্য়বহার করে থাকে । তাই, বিশ্বের বাজারে মোমবাতির একটা বড়ো চাহিদা রয়েছে । তাছাড়া জন্মদিন উৎযাপন করার জন্য় জন্মদিনের মোমবাতি ব্য়বহার হয় এবং ঘর সাজানোর জন্য় বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি ব্য়বহার হয়। শো-পিস মোমবাতি ( বিভিন্ন ধরনের পুতুল, কার্টুন ক্য়ারেক্টর, সুপারহিরো আইকন ও ইত্য়াদি)। ঘরের পরিবেশকে তরতাজা করতে ব্য়বহার হয় সুগন্ধী মোমবাতি যা তৈরি করা হয় মোমের সাথে বিভিন্ন প্রকার সুগন্ধ মিশিয়ে।

এছাড়া মোমবাতি বহুদিন ধরেই উপহার দেওয়া নেওয়ার প্রথায় নিজের স্থান ধরে রেখেছে।


বাজার চাহিদা : আলোর জন্য় মোমবাতির যে পরিমান ব্য়বহার ভারতের মতো দেশে পাঁচ বছর আগে হত তা আজ অনেক কম হয়েছে, দেশে বিদ্য়ুতের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য়। কিন্তুু অন্য়দিকে, অনেক দেশে আজও মোমবাতি চাহিদা প্রবল। ভারতে, সাধারন আলোক মোমবাতির ব্য়বহার কম হলেও ডেকরেটিভ মোমবাতির ব্য়বহার বাড়ছে এবং দীপাবলির সময় ভারতে মোমবাতির চাহিদা সবথেকে বেশি হয়। এছাড়া বিভিন্ন ছোট বড়ো পূজা পার্বনে এর চাহিদা হয়।


তাই মোমবাতির ব্য়বসা করে আয় করা যেতে পারে।


বিনিয়োগ: মোমবাতির ব্য়বসা করতে কম বা বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্য়বসা শুরু করা যেতে পারে। তা নির্ভর করছে আপনার অর্থনৈতিক ও ব্য়বসায়িক ভাবনা ও পরিস্থিতির উপর। দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করা সঠিক হবে। তবে আপনি ২০০০০ বা ৫০০০০ টাকা বিনিয়োগ করে মোমবাতি তৈরির ব্য়বসা শুরু করতে পারেন।


ভিডিও টি দেখুন ঃ https://youtu.be/hj76hNHBoAw


যন্ত্রপাতি: যন্ত্রপাতি বলতে কয়েকটা ছুড়ি, কাঁচি, কয়লার উনুন, কড়াই ও মোমবাতির সাইজ মত ছাঁচ যা কিনা খুবই গুরত্বপূ্র্ণ।

ছুড়ি: ৩০-১০০ টাকা প্রতি পিস।

কাঁচি: ৭০-১০০ টাকা প্রতি পিস।

কড়াই: ৫০০-২০০০ টাকা, সাইজের উপর নির্ভর করে।

উনুন: উনুন বাজার থেকে কেনার চেয়ে নিজে বানিয়ে নেওয়া ঠিক হবে।( আমরা দুই বার বাজার থেকে কিনে এনে ছিলাম কিন্তুু তা বেশি দিন যায় নি, তাই আমরা নিজেদের কারখানার উৎপাদন ক্ষমতার অনুযায়ী উনুন বানিয়ে নিয়েছি। মনে রাখবেন মোমবাতির কারখানায় উনুন খুবই গুরত্বপূর্ণ অংশ। কারন উনুন সঠিক ভাবে না জ্বললে বিভিন্ন ধরনের লোকসান হতে পারে যেমন- শ্রমিক খরচা, কয়লার নস্ট হওয়া)।

ছাঁচ: মোমবাতি তৈরির ছাঁচ বিভিন্ন সাইজ ও ধরনের হয়। বাজারের চাহিদা ও স্থান ভিত্তিতে। যেমন কলকাতা ও তার আসে পাশের বাজার ৩ ও ২১ গ্রামের মোমবাতির চাহিদা সারা বছর থাকে যা কিনা ১ টাকা ও ৫ টাকা প্রতি পিস খুচরো বিক্রি হয়।

একটি পাঁচ টাকা বিক্রি মোমবাতির বড়ো ছাঁচের দাম ১৮০০০ - ২০০০০ হতে পারে।

স্ট্য়ান মোমবাতির ছাঁচ বর্তমান বাজার ভিত্তিতে ১৮ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত বা তার বেশিও হয়ে থাকে। একটি ১৮ গ্রাম সাইজের ডাইস বানাতে ৩০০০ টাকা মত খরচ হয় যা থেকে একবারে ৪ পিস করে মোমবাতি তৈরি হয়। এই মোমবাতি বাজারে ৫ টাকা করে খুচরো বিক্রি হয়।



কাঁচামাল: সাধারণ মোমবাতি বা কালার মোমবাতি বানাতে শুধুমাত্র প্য়ারাফিন মোম, সুতো ও রং এর প্রয়োজন হয়।

প্য়ারাফিন মোম ৮০ - ১০০ টাকা প্রতি কেজি পাইকারি বাজারে পাওয়া যায়, গুনমান ও যোগানের উপর এর দাম কম ও বেশি হয়ে থাকে।

সুতো ৯০-১২৫ টাকা প্রতি কেজি দরে পাইকারি বাজারে পাওয়া যায়

রং রঙিন মোমবাতি বানানোর জন্য় মোম রং এর ব্য়বহার হয়। ভালো গুনমানের মোম রং এর দাম ১২০-১৪৫ প্রতি ১০০ গ্রাম এবং এটি সহজেই পাইকারি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও সুগন্ধি বা ডেকরেটিভ মোমবাতি বানানোর জন্য় পারফিউম, সুতোর পিন, ফয়েল বাটি, টিনের কৌট, গ্লাস জার, মৌমাছির মোম, সয় মোম ও তরল প্য়রাফিন মোম এর প্রয়োজন হয়।

প্য়াকেজিং এর জন্য় কাগজের ব্য়াক্স ব্য়বহার করা হয় এবং বেশ কিছু প্লাস্টকের পাউচ ব্য়বহার হয়।


প্রস্তুতি: মোমবাতি প্রস্তুত করা একটি সহজ কাজ তবে এটি খুবই সাবধানে করতে হয় কারন মোম খুব সহজেই জ্বলে ওঠে ও আগুন লেগে

যাবার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। তবে সাবধানে কাজ করলে কোন অশঙ্খা থাকে না (যেমন, যেখানে উনুণ জ্বলে সেই জায়গাটি পরিস্কার রাখা, উনুনে মোম বসানো থাকলে তা নজরে রাখা যাতে মোম কখনই বেশি গরম না হয়

কারন মোম যদি বেশি গরম হয়ে যায় তাহলে তা বাস্পিভূত হয়ে মোমের কড়াই তে আগুন লেগে যেতে পারে।

বালি ও জলের ব্য়বস্থা রাখা খুবই জরুরী।


প্রথমে মোমের ছাঁচ গুলি পরিস্কার করে তাতে ব্রাশ দিয়ে রিফায়ন তেল লাগিয়ে দিন। তারপর সুতো পড়িয়ে মোমের ছাঁচের প্য়াঁচ শক্ত করে আটকে দিন। তারপর মোম গলিয়ে তা মগ বা ধাতুর কোন পাত্রে মোম নিয়ে তা ছাঁচের মধ্য়ে ধীরে ধীরে ঢালুন। এরপর ছাঁচের জলের ট্য়াঙ্ক গুলোতে জল ভরে দিন। তারপর মোমের সুতো কেটে পরিস্কার করে দিন এবং তারপর মোমবাতি গুলি ছাঁচ বের করে নিন। এরপর মোমবাতি সুতো কেটে সমান মেঝের মধ্য়ে মোমবাতি গুলো বিছিয়ে দিন ঠান্ডা হবার জন্য়। মোমবাতি ঠান্ডা হলে তা ব্য়াক্সে প্য়াক করে নিন।


মুনাফা: মোমবাতির ব্য়বসাতে ১০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা হতে পারে বা কোন ক্ষেত্রে তা বেশিও হয় তবে তা নির্ভর করবে আপনার ব্য়াবসার আকারের উপর।



মোমবাতি কিনতে কল করুন ঃ

ফোন

০১৭১২-৭৬৩২৮৩




No comments

Thanks for your comments .